ওয়েব ডেস্ক: গ্রীষ্মের মৌসুমে নিজেকে সুস্থ ও হাইড্রেটেড রাখতে আমরা মৌসুমি ফল খাই। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জল, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মতো অনেক খনিজ রয়েছে।
কেউ কেউ এই গরমে খাদ্যশস্য কমিয়ে বেশি ফল ও জুস খাওয়া শুরু করেন। এর মধ্যে সবার পছন্দের তালিকায় যে ফলটি প্রথমেই থাকে তা হল তরমুজ।
তরমুজ (Watermelon Side Effects) এমনিতে ভীষণ উপকারি, কিন্তু যদি ঠিক ভাবে না খান তাহলে এর থেকে খাদ্যে বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই তরমুজ খাওয়ার আগে কিছু নিয়ম মেনে চলুন।
গরমে প্রতিদিন তরমুজ (Watermelon Side Effects) খেলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি খাওয়ারও কিছু নিয়ম আছে যা মাথায় রাখতে হবে। যেমন-
• যেসব মহিলাদের PCOD সমস্যা আছে তাদের সকালে খালি পেটে তরমুজ (Watermelon Side Effects) খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
• লিভার সংক্রান্ত কোনো রোগ থাকলে তা খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়।
• তরমুজ (Watermelon Side Effects) খাওয়ার সাথে সাথে জল পান করবেন না। এতে ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। পেটে ইনফেকশন হতে পারে।
রাতে তরমুজ খাওয়া উচিত নয়। এ সময় তরমুজ হজম করা কঠিন হতে পারে। যা অন্ত্রে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। কারণ দিনের তুলনায় রাতে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।
তরমুজে (Watermelon Side Effects) রয়েছে পটাশিয়াম, ফাইবার। সকালে খালি পেটে খাওয়ার ফলে অম্বল, ব্যথা এবং হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও, পেটে ব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়া হতে পারে। এ ছাড়া দুপুর ও রাতের খাবারের সঙ্গে এটি খাওয়া উচিত নয়। সেক্ষেত্রে দুপুরের খাবার খাওয়ার পরে এবং বিকালের স্ন্যাকস টাইমে তরমুজ অনায়াসেই খাওয়া যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য –
• ডায়াবেটিস রোগীর জন্য তরমুজ (Watermelon Side Effects) বিপজ্জনক হতে পারে। এটি খেলে তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
• কিডনি এবং হাঁপানি রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এটি খাওয়া উচিত নয়।
• গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়া উচিত নয়।
• সর্দি হলে খাবেন না।
• আপনার যদি অ্যালার্জি থাকে তবে এটি খেলে ত্বক সম্পর্কিত সমস্যা (Watermelon Side Effects) হতে পারে।