ওয়েব ডেস্ক: যখন রবিবার আমেদাবাদ স্টেডিয়াম কাঁপাচ্ছিলেন রিঙ্কু সিং (Rinku Singh), তখন তাঁর বাবা কি করছিলেন? এমনটা ভাবা হইতো স্বাভাবিক নয়, তবে আপনি জানলে অবাক হবেন সেই সময় তাঁর বাবা বাড়ি বাড়ি সিলিন্ডার সাপ্লাই করছিলেন। আসলে এটিই তাঁর রোজনামচার কাজ। এমনই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন এই মুহুর্তের আইপিএলের সুপারস্টার (Rinku Singh)।
কথায় আছে ‘কর্ম করে যাও, ফলের আশা কর না’। আর এই শিক্ষাতেই ছোট থেকে বড় হয়েছেন রিঙ্কু (Rinku Singh)। তাই তো গতকাল যখন তাঁর ব্যাটে ঝড় উঠছিল, তখন তাঁর বাবা-মা সকলেই ব্যস্ত ছিলেন সাদামাটা জীবনে।
রিঙ্কু এখন লাখ লাখ রোজগার করে। সে তাঁর রোজগার থেকে বাবাকে গাড়ি কিনে দিয়েছে। কিন্তু তাঁর বাবা আজও বাইক নিয়েই কাজ করেন। ১২০০ টাকার ফোনই তাঁর কথা বলার মাধ্যম। এমনকি (Rinku Singh) এখানেই শেষ নয়, ছেলের সাথে কোনও পার্টিতে গেলে ব্লেজারের নীচে জামাটি পড়েন সেই ৫০০ টাকারই। ঠিক এতোটাই সাদামাটা রিঙ্কু সিং-এর বাবা (Rinku Singh)।
এতো গেল রিঙ্কুর বাবার কথা, এবার আসা যাক রিঙ্কুর (Rinku Singh) মায়ের কথায়। সাদামাটা পরিবারের ছাপোসা মা। পরণে শাড়ি, কপালে লাল টিপ, মাথায় ঘোমটা। ঠিক আর ‘চার-পাঁচটা’ মধ্যবিত্ত পরিবারের মায়েরা যেমন হয়ে থাকেন আরকি। বাবার পাশপাশি যেন মা নিজেও কষ্ট বুকে চেপেই মানুষ করেছেন সন্তানদের। তাই ছেলের এতো বড় সাফল্যের পরও চিত্রটা একটুও বদলায়নি।
এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে কেন তারা মধ্যবিত্ত জীবন ছেড়ে বের হননি?
- রিঙ্কু সিং-এর (Rinku Singh) বাবা খানচন্দ্র সিং এবং তাঁর মা বীনা দেবী
- দুজনে মিলে ৫ সন্তানকে বড় করেছেন
- বাবা খানচন্দ্র সিং ছেলেদের মানুষ করতে গিয়ে কখনোই ব্র্যান্ডেড জামাকাপড় (Rinku Singh) কিনতে পারেননি
- স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে জানতেন না, তার ওপর দাম বেশি, তাই কি-প্যাড ফোনই কেনেন
- সিলিন্ডার সাপ্লাইয়ের কাজ করে মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা রোজগার হয়, ফলে কষ্ট করেই চলে সংসার
- এখনও সন্তানদের একটায় কথা বলেন কোটি টাকা দেখে হাওয়ায় উড়ো না, পায়ের মাটি শক্ত রাখো
রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) রবিবার যে ব্যাটে ঝড় তুলেছেন তা তাঁর নিজের ছিল না। শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। সেই ব্যাট ছিল নীতিশ রানার। আর এর জন্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রিঙ্কুর (Rinku Singh) বাবা। বলেছেন অভাবের জন্যে ছেলেকে ব্যাট কিনে দিতে পারেননি। কিন্তু তারা যেটা করেছেন তা হল ছেলের মধ্যে তৈরি করেছেন অদম্য জেদ। আর সেই জেদেরই সাক্ষী থেকেছে রবির সন্ধ্যা।