ওয়েব ডেস্ক: যখন ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের মসনদে ছিল কংগ্রেসের জমানা, তখন চিনা প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং তৈরি করছিলেন ‘হীরের হার’! কি শুনতে অবাক লাগছে? ভাবছেন আপনাদের সাথে রসিকতা করছি? একদমই নয়, এই হীরের হারের আসল তত্ত্ব জানলে চমকে উঠবেন। আর সেই ‘হীরের হার’ই এবার অর্ডার দিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। যাতে বেশ চাপে পড়েছে ড্রাগন শিবির। কি সেই ‘হীরের হার’ এবং কেন চিন চাপে পড়ল তা নিয়েই রইল আজকের প্রতিবেদন।
যখন মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখনই এই ব্যবস্থাপনা শুরু করেছিল চিন। সেই সময় ভারতের তরফ থেকে পালটা বার না গেলেও, মোদি (PM Narendra Modi) আসতেই বদলেছে এই পরিস্থিতি। ‘হীরের হার’ আসলে কূটনৈতিক কোড বা নীতিও বলতে পারেন। যা প্রত্যেক ভারতবাসীর বোঝা উচিত।
- আসলে চিন সেই সকল দেশকে ঋণ দিচ্ছে, যেখান থেকে ভারতের ওপর নজর রাখা যায়
- ভারত মহাসাগরের ওপর অধিকার স্থাপন করা যায়
- তাই প্রথমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে পাকিস্তানের করাচি
- শ্রীলঙ্কার কোলাম্বো এবং হাম্বনটোটা পোর্ট পর্যন্ত সীমান্ত দকল করে
- তারপর দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়ার সীমান্তেও পৌঁছে গেছে চিন
- এমনকি মালদ্বীপেও নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেছে
আপনি যদি এই সবকটি (PM Narendra Modi) দেশকে ম্যাপে ভালো করে দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন এই সকল দেশ মিলে একটি মালা বা হার তৈরি করছে, যাকে বিদেশ নীতিতে ‘মোতিও কি মালা’ বলা হয়ে থাকে।
এই সম্পূর্ণ বিষয়টি কংগ্রেস জামানায় শুরু হলেও প্রকাশ্যে আসে মোদি জমানায়। এস জয়শঙ্কর সেই সময়ই চিনের কূটনীতি ধরে ফেলেছিলেন। তখন তিনিই মোদিকে (PM Narendra Modi) জানিয়েছিলেন চিনের শক্তিকে কমাতে এই ‘হীরের হার’কে নিজের কবজায় নিতে হবে। তাহলেই চিনের সাথে লড়াইটা সহজ হয়ে উঠবে।
এরপরই ভারত সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ওমান ও আফ্রিকা সহ একাধিক দেশে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করে।
- ২০১৮ সালে মোদি সিঙ্গাপুরের নৌসেনা বেস-এর সাথে যোগাযোগ দৃঢ় করেন
- ফলে দক্ষিণ চিন সাগর থেকে নৌসেনা বেস পর্যন্ত ভারতের নৌসেনা সুরক্ষিত বলয় হিসেবে উপস্থিত রয়েছে
- সেই বছরই ভারত সবাঙ্গ পোর্ট পর্যন্ত সেনার যোগাযোগ স্থির করে
- কেননা এই পথ দিয়েই মরাক্কার তেল চিন এ যায়
- ওমানের দুকাম পোর্টেও ২০১৮ সালে ভারত যোগাযোগ বাড়ায়, এই পথ দিয়ে পারস্য থেকে সামগ্রী আসে
- ভারত থেকে আফগানিস্থান পৌঁছানোর জন্যে ইরানের সাবহার পোর্টের সাথে যোগাযোগ বাড়ায় দেশ
এখানেই শেষ নয়। মোদি (PM Narendra Modi) এমন ভাবেই তাঁর কূটনৈতিক চাল প্রস্তুত করেছেন যাতে যেকোনও দিক থেকেই হোক না কেন, চিনের মোকাবিলা করতে পারে দেশ। যেমন – মাঙ্গোলিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া সকল দেশের সাথেই সম্পর্ক দৃঢ় করেছেন। তাদের বিপদে বিনা শর্তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে বিপদে পাশে থাকার বার্তা দিয়ে যে কূটনীতির চাল দিয়ে আসছে চিন, সেই চালে সহজেই মাত দিয়েছেন মোদি (PM Narendra Modi)। ফলে ভারতের প্রতি এই রাষ্ট্রগুলির আশ্বাস বেড়েছে, যা অদুর ভবিষ্যতেও গ্রহণযোগ্য হবে।